টাইটেল: বাংলা উইকিপিডিয়া কী এবং কেন
লেখকঃ নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব
প্রকাশনী: তাম্রলিপি
ভাষাঃ বাংলা
আবহমান কাল থেকে মানব সমাজে জ্ঞানের চর্চাটা ছিলো সমষ্টিগত -- দুর্গম প্রকৃতির সাথে লড়াই করে সভ্যতা গড়ে তোলার পথে অর্জিত জ্ঞানটুকুতে ছিলো সবার অধিকার। কিন্তু কালের বিবর্তনের ধারায় এক সময় জ্ঞান হয়ে পড়ে বন্দী, মুষ্টিমেয় অল্প কিছু মানুষেরই কেবল থাকে এই জ্ঞানের সাগরে অবগাহনের সুযোগ। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বিশ্বের সব জ্ঞান-বিজ্ঞান পৌছে দেয়ার যে মাধ্যম বিশ্বকোষ - আধুনিক বিশ্বে অর্থনৈতিক কারণে জনমানুষের কাছে তা হয়ে পড়েছিলো অধরা। অচলায়তনের এই নিগড় ভাঙতে ২০০১ সালে জন্ম নিয়েছিলো এক নতুন ধারার বিশ্বকোষ - উইকিপিডিয়া। জনমানুষের লব্ধ জ্ঞানকে জনমানুষের হাতেই তিল তিল করে সঞ্চিত করে জ্ঞানের মহাসাগর গড়ে তোলাই - এই ছিলো উইকিপিডিয়ার মূলমন্ত্র। প্রতিষ্ঠার পর ১ যুগের মধ্যেই উইকিপিডিয়া পরিণত হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তম জ্ঞানভাণ্ডারে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ জ্ঞান পিপাসু স্বেচ্ছাসেবীর হাতে গড়ে তোলা এই জ্ঞানভাণ্ডারে স্থান পেয়েছে জ্ঞান, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, প্রযুক্তি, রাজনীতি, থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সব বিষয়। আর তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে এই জ্ঞান হয়ে পড়েছে সবার জন্য উন্মুক্ত, বিশ্বের সর্বত্র পৌছে গেছে উইকিপিডিয়ার সুফল। আজ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কিশোর শিার্থীটি মুঠোফোনের কয়েকটি বোতাম চেপেই হাতের নাগালে পাচ্ছে উইকিপিডিয়ার সব তথ্য। ২০১৩ সালের শুরুতে বিশ্বের ২৮৫টি ভাষায় আড়াই কোটি নিবন্ধ রয়েছে উইকিপিডিয়ার নানা সংস্করণে। আর জ্ঞানের এই অবারিত ভাণ্ডার এনে দিয়েছে সারা বিশ্বে এক তথ্যবিপ্লব, জনমানুষের জ্ঞান সবার কাছে পৌছে দিয়েছে এই জনমানুষের বিশ্বকোষ।